পাহাড় কেটে ড্রেন ভরাট, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যে নষ্ট হচ্ছে ফসল | জাগো নড়াইল 24
হোম / সারাদেশ / বিস্তারিত

পাহাড় কেটে ড্রেন ভরাট, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যে নষ্ট হচ্ছে ফসল

10 August 2025, 10:36:56

পাহাড় কেটে ড্রেন ভরাট, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যে নষ্ট হচ্ছে ফসল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন আর্মি রোড এলাকায় পাহাড়ের মাটি কেটে ড্রেন ভরাট করে পানি চলাচল ও বর্জ্য নিষ্কাশনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত হলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গৌজঘোনা গ্রামের নুরুল আলম, নুর আহমদের ছেলে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নুরুল আলমের বাড়ি ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রবেশদ্বার সংলগ্ন, কক্সবাজার-টেকনাফ প্রধান সড়কের আর্মি রোডের পাশে কাঁটাতারের ভেতরে অবস্থিত। সেখানে বনভূমির পাহাড় কেটে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। যদিও এলাকা থাইংখালী বন বিটের আওতাধীন, বন বিভাগের ভূমিকা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে।

আর্মি রোড সংলগ্ন কাঁটাতারের দক্ষিণ পাশে পাহাড়ঘেঁষা একটি প্রাকৃতিক জলধারা রয়েছে, যা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম। অভিযোগ অনুযায়ী, নুরুল আলম ওই জলধারার ড্রেন ভরাট করে দিয়েছেন। ফলে ক্যাম্প থেকে আসা ময়লা ও আবর্জনা সরাসরি স্থানীয় কৃষিজমিতে জমা হচ্ছে, যা ফসল উৎপাদনে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় কৃষক ফরিদ আলম বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ময়লা আবর্জনা আমাদের জমিতে ফেলা হচ্ছে। এতে এ মৌসুমে চাষাবাদ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ক্যাম্প বসার পর থেকেই পাশ্ববর্তী জমিগুলো অনুপযোগী হয়ে গেছে। প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হলেও ক্ষতিপূরণ পাইনি।”

অন্য কৃষক নুরুল আবছার বাপ্পা জানান, “কয়েক বছর ধরে বর্জ্যের কারণে চাষাবাদ বন্ধ। এখন নুরুল আলম পাহাড় কেটে ড্রেন ভরাট করায় পানি ও আবর্জনা জমিতে আটকে পড়ছে, যা ফসলের জন্য বড় বাধা।”

অভিযুক্ত নুরুল আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “পাহাড় কেটে মাটি নেওয়া নিয়ে আমার কিছু জানা নেই। কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে।”

থাইংখালী বন বিটের কর্মকর্তা বিকাশ দাশ জানান, পাহাড় কাটার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জাগো নড়াইল 24 ডটকম কর্তৃক প্রকাশিত সংবাদ, ছবি, তথ্য ইত্যাদির অননুমোদিত ব্যবহার কপিরাইট আইন অনুসারে শাস্তিযোগ্য। এই আইন লঙ্ঘনকারী যেকোনো ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনা কর্তৃক যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য: